টেকনোলজি

Voter Card – 2023 সালে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে এবার থেকে নতুন নিয়ম, কি কি করতে হবে জেনে নিন।

ভারতবর্ষের সকল নাগরিকদের প্রথম পরিচয় পত্র হল Voter Card। কিন্তু এখন এই জায়গাটি আধার কার্ড গ্রহণ করে নিয়েছে। তবুও বেশিরভাগ সরকারি কাজের ক্ষেত্রে এখনও আধার কার্ড, প্যান কার্ড এর সঙ্গে ভোটার কার্ড এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। ভারত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর গণতন্ত্রের মূল উৎসব হল ভোট গ্রহণ। আর এই ভোট উৎসবে অংশ গ্রহণ করতে হলে, এই ভোটার কার্ডের প্রয়োজন পরে।

বাড়ি বসে Voter Card এর আবেদনের পদ্ধতি দেখে নিন।

১৯৯৩ সালে প্রথমবারের জন্য ভারতে Voter Card চালু করা হয়। ১৮ বছরের ওপরে দেশের সকল নাগরিকেরা এই সরকারি নথিপত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে দেশের সমস্ত ভোটার কার্ড গুলিকে EPIC – Electronic Photo Identity Card বলে আমরা সকলে জানি। ভোটার কার্ড শুধু ভোট দানের প্রমানপত্রই নয়, এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও বলা যায়।

LPG – স্বল্প মূল্যে রান্নার গ্যাস বুকিং করার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।

সেই জন্য আমাদের সকলের উচিত ১৮ বছর বয়স হলে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা। আজকের প্রতিবেদনে আমরা ২০২৩ সালে আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
Voter Card ২০২৩ অনলাইন আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১) অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদন করতে হবে।

২) গুগেল প্লে স্টোরে গিয়ে Voter Helpline App টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
৩) সকল শর্তাবলি ভালো করে পরে নিয়ে একসেপ্ট করতে হবে।
৪) এরপরে আপনাকে নিজের সুবিধা জনক ভাষার চয়ন করে নিতে হবে।
৫) Voter Registration অপশনে গিয়ে নিজেকে রেজিস্টার করে নিতে হবে।

৬) নিজের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
৭) আপনার প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে যেই ওটিপি আসবে তার সঙ্গে ই মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে হবে।
৮) আপনার অ্যাকাউণ্ট ওপেন হয়ে যাবে। এই অ্যাকাউণ্ট থেকে নতুন ভোটার কার্ডের অ্যাপ্লাই, ভুল সংশোধন করা যাবে।

৯) New Voter Registration Form 6 এইখানে ক্লিক করতে হবে।
১০) Yes I Am Applying The First Time অপশন সিলেক্ট করবেন।
১১) এরপরে নিজের রাজ্য, জেলা, বিধানসভার নাম, জন্মের তারিখ লিখতে হবে।
১২) ১ লা অক্টোবর ২০০৫ এর আগে যারা জন্ম গ্রহণ করেছেন শুধুমাত্র তারাই এই আবেদন করতে পারবে।

১৩) প্রমানপত্র হিসাবে জন্মের সার্টিফিকেট, আধার কার্ড বা প্যান কার্ড দিতে পারবেন। অনলাইনে আপলোড করতে হবে এবং ২ এম বির বেশি সাইজ হওয়া চলবে না।
১৪) নিজের বর্তমানের একটি রঙিন ফটো দিতে হবে।
১৫) নিজের জেন্ডার, নাম, আধার কার্ড নাম্বার, মোবাইল নম্বর, ই মেল লিখে দিতে হবে।

১৬) নিজের অভিভাবক হিসাবে মা – বাবার নাম লিখতে হবে।
১৭) নিজের বসবাসের ঠিকানা আপনাকে লিখে দিতে হবে। মনে রাখবেন যেই ঠিকানা আপনারা প্রদান করবেন, সেখানে Voter Card পৌঁছে দেওয়া হবে।
১৮) ঠিকানার প্রমানপত্র হিসাবে আধার কার্ড এর সফট কপি আপলোড করে দেবেন।
১৯) নিজের অভিভাবকের ভোটার কার্ডের নাম্বার আপনাকে ফিল করে দিতে হবে।

২০) পুরো অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার সামনে চলে আসবে সেটা ভালো করে দেখে নেবেন।
২১) সাবমিট অপশনে ক্লিক করে দেবেন এবং যেই রেফারেন্স আই ডি লিখে রাখবেন।
এই সামান্য পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনারা ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। আবেদনের কিছুদিনের মধ্যে আপনার ঠিকানাতে Voter Card এর ডেলিভারি করে দেওয়া হবে।

Airtel Recharge Plan – এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য সুখবর, একটি দামের রিচার্জে পাবেন বেশি ভ্যালিডিটি।

এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button