সরকারি কর্মচারী

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে এই মুহূর্তের জরুরি আপডেট।

শীঘ্রই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ফেডারেশন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা ডিএ এর দাবিতে সরব হয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে। এমতাবস্থায় একজোট হওয়া সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, বকেয়া ডিএ প্রদান ও ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছেন।

সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট।

তাঁদের ন্যায্য দাবি পূরণে ব্যর্থ মমতা সরকার। তাই মহার্ঘ ভাতার দাবিতে তারা আন্দোলন, বিক্ষোভ করে চলেছেন নিত্য। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও উঠেছে তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে দলের সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের দিকে আস্থা রেখেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

তাঁদের আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই ডিএ প্রসঙ্গে কোনোও বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু বাস্তবে এ প্রসঙ্গে কোনোও সদুত্তর না মেলায় ফের অসন্তোষ বাড়লো কর্মী মহলে। এরপরেই সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ফেডারেশনের নেতা প্রতাপ নায়েক। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কোনোদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেবেন না বলেননি। তিনি কর্মীদের ডিএ দেবেন। এমনিতেই তিনি সরকারি কর্মচারীদের (WB Govt Employees) পক্ষে একাধিক কাজ করেছেন।

Gold Price (সোনার দাম)

কর্মীদের ডিএ দেওয়ার ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার কথা বলার পরেই তিনি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, রাজ্যের পাওনা ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা এখনো দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই ডিএ দিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই এ সমস্যা মিটিয়ে শীঘ্রই কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং কেন্দ্রের থেকে টাকা মিললেই ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা।

যদিও, ফেডারেশন নেতার কথায় বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর এই মৌখিক আশ্বাসে আর বিশ্বাসই নয়। তাদের একাংশের বক্তব্য, এখন সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশই একমাত্র পথ। তাই আপাতত শীর্ষ আদালতের ডিএ মামলার শুনানির দিকেই চেয়ে রাজ্যের অসংখ্য সরকারি কর্মীরা। এবারে এই নিয়ে সকলে অপেক্ষা করে আছেন যে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Written by Sampriti Bose.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button