সরকারি প্রকল্প

Lakshmir Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, ডিসেম্বরের আগে উপকৃত হবেন মহিলারা।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা Lakshmir Bhandar নিয়ে ফের একবারের জন্য দারুণ খুশির খবর পাওয়া গেল। আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা। রাজ্যের মহিলাদের জন্য বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। খুব শীঘ্রই মিলতে চলেছে নতুন আবেদনকারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং বার্ধক্য ভাতার টাকা। মূলত দুর্গাপুজোর পরই আসার কথা ছিল এই সুখবর। তাই এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক সভায় সেই সুখবরের বিষয়টি একবারে নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee).

Lakshmir Bhandar Scheme New Update.

মূলত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প নিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার মধ্যে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, পথশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য হলেও একটি বিশেষ প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) মারফত রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ১.৯৮ কোটিরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) সুবিধা পাচ্ছেন। তবে এবার লক্ষীর ভান্ডারের প্রাপকের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় সকলকে আশ্বস্ত করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) নিয়ে দারুন এক সুখবর দেন। তিনি জানান, সব কিছু তিনি রেডি করে রেখেছেন।

উৎসব মিটলেই দ্রুত Lakshmir Bhandar টাকা নতুন প্রাপকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করবে। পাশাপাশি, বার্ধক্য ভাতা আবেদনকারীদেরও মিলবে টাকা এবং বাংলা আবাস যোজনার কাজও হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, হাতে একটু টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষনার পর একটা বিষয় স্পষ্ট যে সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরে নতুন করে বাংলার যে মহিলারা Lakshmir Bhandar প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা খুব দ্রুতই ৫০০ বা ১০০০ টাকা করে পেতে শুরু করবেন।

তবে রাজ্য সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) নতুন আবেদনকারীদের একাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হলেই নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। মাত্র ২ বছরের মধ্যে এর উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে উপকৃত হবেন বার্ধক্য ভাতা (Old Age Pension) প্রাপকরা। কারণ চলতি বছরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে দিয়েছেন।

৬০ বছর বয়স হলেই Lakshmir Bhandar প্রাপকদের নাম সরাসরি বার্ধক্য ভাতার তালিকায় উঠে যাবে। মূলত ৬০ বছর বয়স পর্যন্তই লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া যায়। কিন্তু এখন থেকে আর বয়স নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। কারণ ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেও বাঙালি মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের অর্থ আগের মতই পেতে থাকবেন। শুধু পার্থক্য বলতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়ে তা বার্ধক্য ভাতা তালিকায় যুক্ত হবে।

RBI Rules (রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম)

আর বার্ধক্য ভাতায় মাসিক অনুদান হিসেবে পাওয়া যায় ১০০০ টাকা করে। এর ফলে সাধারণ শ্রেণির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন তারা বার্ধক্য পাতায় পাবেন হাজার টাকা করে অর্থাৎ তারা লাভবান হবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের মহিলাদের মুখে হাসি ফুটেছে। মূলত দুর্গাপুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাসের দুয়ারে সরকার শিবিরে যারা এই Lakshmir Bhandar জন্য যারা আবেদন জানিয়েছিলেন তারা আশা করেছিলেন দুর্গাপুজোর আগেই তাদের একাউন্টে টাকা ঢুকবে।

কিন্তু সেটা না হয়ে এখন নভেম্বর মাস শেষ হতে চলল, কিন্তু তাদের একাউন্টে এখনও টাকা না ঢোকায় তাঁরা কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছিলেন। তবে, এবার মুখ্যমন্ত্রী করা নতুন ঘোষণায় অত্যন্ত খুশি হয়েছেন তারা সকলেই। Lakshmir Bhandar বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আগামীদিনে আরও কি কি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে সেই নিয়ে চিন্তায় সকলে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।
Written by Sampriti Bose.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button