DA Protest – বকেয়া ডিএ ইস্যুতে ইট পাটকেল অব্যাহত, ডিএ না চাকরি? সিদ্ধান্ত কাল পরশু, কনফিউসড কর্মীরা।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কোন ভাবেই দমতে রাজি নন, টানা ২২ দিন ধরে চলছে তাদের DA Protest। নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য এত আন্দোলন করতে হবে সেটা কেউই ভাবতে পারেননি। বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার বনাম সরকারি কর্মীদের দ্বৈরথ অব্যাহত। সম্প্রতি বাজেটে ৩% মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু সম্পূর্ণ বকেয়ার জায়গায় ৩% এই বিষয়টিকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
DA Protest নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল।
চলতি মাসের শুরুতেই ২ ঘণ্টার পেনডাউন কর্মসূচী পালন করেছিলেন কর্মীরা। প্রত্যাশা ছিল বাজেটে কোন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। এরপর থেকেই আরও বৃহত্তর DA Protest এর ডাক দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়াতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন – “২০, ২১ তারিখ কাজে না আসলে ২২ তারিখ থেকে সকলে বাড়িতেই থাকুন”।
DA Protest নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বলেছেন – আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমি সবার জন্য চিন্তা করেছি। কিন্তু এখনও কারোর মনপ্রুত হচ্ছে না। ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে – ২০ ও ২১ তারিখ কোন বৈধ কারণ ছাড়া ছুটি নিলে সেটাকে সার্ভিস ব্রেক হিসাবে ধরা হবে।
বিগত বছরে কলকাতা হাইকোর্ট এর তরফে সকল কর্মচারীর বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নির্দেশ এর পরে রিভিউ পিটিশন ও সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। আগামী মার্চ মাসে এই মামালার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এবার দেখার অপেক্ষা যে শেষমেশ কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
DA Protest নিয়ে আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।
যুদ্ধের কৌশল হচ্ছে দু’পা এগোয়,এক পা পিছিয়ে যাও।
আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি,যুদ্ধের নীতি মেনে চললে সর্বাগ্রে চাণক্য (কৌটিল্য) এবং শ্রীকৃষ্ণকে মেনে চলা উচিত।