জানা-অজানা

Fish Eating Benefit – মাছ খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখে নিন।

আমরা পশ্চিমবঙ্গ বাসিদের অর্থাৎ বাঙালিদের পছন্দের খাওয়ারের মধ্যে অন্যতম হল মাছ, তাই আমাদের সকলেরই Fish Eating Benefit সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র যে বাঙালিরাই মাছ ভালোবাসে তাই নয়। আমাদের দেশের সকল সমুদ্র পার্শ্ববর্তী রাজ্য ও অঞ্চল গুলিতে মাছের প্রচলন অনেক বেশি। অনেক ধরণের মাছ পাওয়া যায়, এই সকল গুলির স্বাস্থ্য সুবিধা বিভিন্ন ধরণের।

Fish Eating Benefit সম্পর্কিত কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নিন।

মাছ দুই প্রকারের পাওয়া যায় – নদীর জলের ও সামুদ্রিক জলের মাছ। সামুদ্রিক জলের মাছে অনেকে বেশি ফায়দা বলে মনে করেন। রুই, কাতলা, ইলিশ, পাঙ্গাস, মৃগেল, আমুদি, সাইদিং, সংকর, ভেটকি, পুঁটি, ট্যাংরা ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরণের মাছ স্বাদ হিসাবে সকলে পছন্দ করে। কিন্তু শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টিগুণ কি জানেন? আজকে বিভিন্ন প্রকারের Fish Eating Benefit সম্পর্কে জেনে নিন।

Mustard Oil Prize Decrease – সর্ষের তেল সহ সস্তা হল আরও অনেক খাদ্য দ্রব্য, দেখে নিন তালিকা।

কিছু জনপ্রিয় মাছের তালিকা ও পুষ্টিগুণঃ-
১) রুই মাছঃ- ১০০ গ্রাম রুইমাছে ৬৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পরে। রুই মাছ থেকে পাওয়া এই ক্যালসিয়ামের ফলে আপনার – হাড়, দাত ও মাড়িকে মজবুত করে।

১০০ গ্রাম রুইমাছে মাত্র ৯৭ ক্যালরি থাকে, ওজন কমানোর জন্যও এই মাছের জুরি মেলা ভার। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে।
২) কাতলা মাছঃ- এই মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার জন্য আপনার হৃদয় এর জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই মাছ স্বাদে ও গন্ধে অতুলনিয়। DHA ও EPA অ্যাসিড আপনার হাড়ের রোগ সারাতেও সাহায্য করে।

ভিটামিন A সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য আপনার চোখ ও চুলের জন্যও খুবই কার্যকারী। একজিমা, সোরাইসিস এর মতো ত্বকের রোগ সারাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আয়ডিন, ফসফরাস আছে।
৩) ইলিশ মাছঃ- বাঙালির সব থেকে প্রিয় মাছ হল এই ইলিশ মাছ। এছাড়াও ইলিশ না চিংড়ি এই নিয়েও তর্ক বিতর্ক চলতে থেকে সব সময়। এই মাছের Fish Eating Benefit হল জিঙ্ক এর পরিমাণ বেশি থাকার জন্য আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এর ব্যবহার করা যেতে পারে।

বয়স বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও এই মাছের গুরুত্ব রয়েছে। বয়স কালের হাড় ক্ষয়ের রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ডিপ্রেসানে ভোগা রোগীরা এই মাছ খেয়ে উপকৃত হয়েছেন।
৪) চিংড়ি মাছঃ- এই মাছের Fish Eating Benefit হল যে ভিটামিন B 12 এ সমৃদ্ধ এই মাছ। এই যৌগের শরীরে অভাব ঘটলে হতাশা, নিরাশা ও ক্লান্তিবোধ আসে।

যাদের এই ধরণের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই মাছ খাওয়া খুবই দরকার। আপনার ত্বকের জন্যও খুবই লাভদায়ক এই মাছ। কিন্তু বেশি পরিমাণে এই মাছ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
৫) ছোট মাছঃ- এই সকল মাছ গুলি হল – পুঁটি, মৌরলা, আমুদি, কাচকি, ফলি, বাটা, চারাপোনা ইত্যাদি। বড় মাছের তুলনায় কোন মতেই এই মাছ গুলি পুষ্টিগুনে কম নয়।

এই সকল মাছ প্রধানত বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী বলে আমরা সকলেই জানি। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তারের পরামর্শে এই মাছ খেতে পারেন। এর ফলে তাদের কমজোরি, মাথাঘোরা, ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

রেশন কার্ড ছাড়াই সকলে তুলতে পারবেন চাল, গম, সমস্ত মুদি সামগ্রী।

এই নতুন ধরণের বিষয় নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button