অন্যান্য

বকেয়া ডিএ না দিলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের চরম হুশিয়ারি দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা, 48 ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে উত্তাপ যত দিন যাচ্ছে ততই চরমে উঠছে। বিগত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে বিগত সকল বছরের DA মিটিয়ে দিতে হবে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে খুশি হয়েছিলেন সকলে, কিন্তু সরকারের তরফে দাখিল করা রিভিউ পিটিশন এই খুশিতে জল ঢেলে দিয়েছিল।

বকেয়া ডিএ না পাওয়া গেলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।

এর পর থেকে নিজেদের প্রাপ্য বকেয়া ডিএ আদায়ের জন্য সংগ্রাম আরও তীব্র করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কখনো নবান্ন অভিযান, কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে বচসার জেরে গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট রিভিউ পিটিশন খারিজ করে নিজেদের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তকেই সিলমোহর দিয়েছিল।

বাংলার ডিএ মেটাবে কেন্দ্র সরকার, সংসদে প্রস্তাব বিজেপির।

এর পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে সুপ্রিম কোর্টে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলা নিয়ে হাজির হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে সকলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে এবং সকলে এক জোটে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। সম্প্রতি যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে – ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে DA নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেউ কাজ করবেন না।

কিছুদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে লাগাতার অনশনের জেরে অনেক কর্মচারীরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ২৭ শে জানুয়ারি থেকেই সেখানে অনশন চলছে, এছাড়াও কয়েকজন কর্মী আমরণ অনশন ঘোষণা করেছেন। নিজেদের ন্যায্য পাওনা পেতে এত নিগ্রহ, অপমান, কষ্ট, হেনস্তার সম্মুখীন হতে হবে এইটা হয়তো কেউ ছিন্তাই করতে পারেননি।

সরকারের তরফে সেই মান্ধাতা আমলের বক্তব্য যে রাজ্যের নাগরিকদের কল্যাণ সাধনের জন্য নানা ধরণের প্রকল্প চালু করার ফলে কোষাগারের হাল বেহাল, এই কথা শুনে কর্মীদের মন্তব্য – “আমাদের সব জানা আছে, আসলে টাকা কোথায় যায়!!!”। আর কিছু দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল, এই সময়েই নিজেদের বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য পঞ্চায়েত ভোটে কাজ না করার চিন্তা করা হচ্ছে সকলের তরফে।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে এক অপরিসীম ভুমিকা থাকে এক কথায় এনাদের ছাড়া ভোট গ্রহণ অসম্ভব। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই সিদ্ধান্ত শোনার পরে সরকার কিছুটা চাপে পরতে চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোন বক্তব্য পেশ করা হয়নি। এখন যৌথ মঞ্চের ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা অতিক্রমের পর কি ঘটতে চলেছে, সেই দিকে সকলের নজর।

Dearness Allowance – কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন রাজ্য সরকারী কর্মীরা, অবশেষে পে কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লো।

এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button