Trending News

বকেয়া ডিএ এর দাবিতে কাল পেন ডাউন ধর্মঘট করলো পশ্চিমবঙ্গের কর্মীরা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, হাসপাতালে কেউ কাজ করবে না।

বকেয়া ডিএ নিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

বকেয়া ডিএ নিয়ে এবার নিজেদের আন্দোলন আরও তীব্র করার পথে হাটতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সরকারকে চাপে ফেলার লক্ষ্যে আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিলো কর্মচারীরা। এক সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথমঞ্চ। দুপুরবেলা ঠিক দুটো থেকে চারটে পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে DA সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো, কতো শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ডিএ জেনে নিন

বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন নতুন নয়। এর আগেও আমরা নবান্ন অভিযান, গণছুটির সিদ্ধান্ত দেখে এসেছি। এছাড়াও নিজেদের ন্যায্য পাওনা পাওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গেও অনেক সরকারি কর্মচারী বচসায় জড়িয়েছে। কিন্তু শেষ ফল কিছু পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবির আরও জোরালো করার জন্য এই সাময়িক কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই কথায় আমল না দিয়ে রাজ্য সরকার প্রথমে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কোর্টে, কিন্তু আদালত নিজেদের পূর্ববর্তী রায় বহাল রাখে। এর পরে এখন এই বকেয়া ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

বকেয়া DA মেটানোর জন্য এই ধরণের কর্মবিরতি করে সাধারণ মানুষের পরিষেবা ব্যাহত করার কারণ জানতে চাওয়া হলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্য বলেন – আমরা শুধুমাত্র ২ ঘণ্টার জন্য এই বিরতির ডাক দিয়েছি। এর অতিরিক্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ডিএ আমাদের মৌলিক অধিকার আর এই অধিকার থেকে আমাদের কোন রকম ভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।
বকেয়া DA নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে তারা জানিয়েছেন অবিলম্বে আমাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় আন্দোলনের পথে হাটতে বাধ্য হব।

DA বাড়তে চলেছে সরকারী কর্মচারীদের।

বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও দাখিল করেছে অনেক সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। এই মামলাও এখন বিচারাধীন। এছাড়াও আগামী মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এবার সকলের অপেক্ষা যে সুপ্রিম কোর্ট কি রায়দান দিতে চলেছে।

এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসাক্রাইব করুন সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Related Articles

6 Comments

  1. যেহেতু বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রীমকোর্টে মামলা চলছে,তাই এখনি কর্মবিরতির মত সিদ্ধান্ত না নিলেই ভালো হতো বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।সামনেই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় না রাখলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।

    1. জনগন কি আমাদের বেতন নিয়ে চিন্তা করে? আপনি বলে দিন যে কি ভাবে কর্মীরা মহার্ঘ ভাতা আদায় করবে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ও আন্দোলন করে আদায় করেছে। একই ভাবে হাইকোর্ট কর্মীরা আদায় করেছে। পুলিশও মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন না।পুলিশ সরকারী কর্মীদের আন্দোলনে লাঠি চালাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। তারা কি মন থেকে করছে? তারা চাকরীর শর্তে আটকে পড়ছে। ওদের কথায় কথায় সাসপেন্ড করা দস্তুর। একটু ভেবে কথা বলুন।

  2. দুই ঘন্টা কর্ম বিরতিতে হবে না। এটার সময় টা একটু বাড়াতে হবে। সঙ্গে পুলিশকে ও নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে । যদি পুলিশকে সঙ্গে পাওয়া যায় খুব জোরদার হবে। ওরাও তো সরকারি কর্মচারী ।

  3. আমি রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। আমি করনিক পথেই ২৯ বছর কাটিয়েছি। ২০১২ তে অবসর নিয়েছি। মমতার সরকার ২০১২ থেকেই মহার্ঘ ভাতা কাট ছাট শুরু করেছেন যা আজও চলছে। বর্তমানে আমি ১০০০০ টাকার কাছাকাছি প্রতি মাসে কম পাই। চাকরী জীবন থেকেই ( বামফ্রন্ট আমলে ) মহার্ঘ ভাতার জন্য ছাতক পাখির মতন * জল চাই* বলে চলেছি। বামফ্রন্ট ঠেকনা দিয়ে চালাত। এক বছরের ডিএ দুই বছর পরে দিত। কোন বকেয়া দিত না। অন্য রাজ্যগুলি কেন্দ্রের হারে ডিএ ও ইহার বকেয়া কর্মীদের প্রদান করে( ত্রিপুরা বাদ- সেখানেও বাম শাসন ছিল ) । কিন্তু তৃণমূল সরকার ডিএ না দেবার বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। বিজেপি শাসনাধীন ত্রিপুরা ইতিমধ্যে ২০% ডিএ দিয়েছে। আমরা পে কমিশনে কেন্দ্রীয় হারে বেতন কাঠামো ২০২০ সালে পেয়েছি। কিন্তু ঐ বছর কোন ডিএ পাই নি। ২০২১ এ মাত্র ৩% ডিএ পেয়েছি।২০২২ সালে কোন ডিএ পাইনি। বকেয়া দূর অস্ত। আমি চাকরি তে প্রবেশ করেছিলাম ১৯৮৩ সালে। বামফ্রন্ট ও বর্তমান সরকার কেন্দ্রের বঞ্চনা বলে গত ৫০ বছর ধরে চিৎকার করে আসছে। অথচ সেই রাজ্য সরকার নিজের কর্মীদের কি ভাবে বঞ্চিত করেছে বা এখনো করছে। আমার মতন কর্মী হয়ত চাকরী ও অবসর জীবনের মোট প্রায় ৪০ বছরে কমপক্ষে বিশ লক্ষ টাকা লোকসান করেছি।ঐ অর্থের ব্যাঙ্কের সুদ হিসাব করলে লোকসান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না।

    সত্যি,, পঃবঃ সরকারের নানা পর্যায়ের কর্মীদের দুরাবস্থা অন্য কোন রাজ্যের কর্মীরা কল্পনা করতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button