পড়াশোনা

School Dropout – সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে কেন? শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে, রিপোর্ট তলব।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সকল বিদ্যালয়ে ব্যাপক হারে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা (School Dropout) আর এই নিয়েই চিন্তিত স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্ট। এক পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যে মোট ১ লক্ষের কাছাকাছি বিদ্যালয় আছে আর এই সকল স্কুলেই করোনা মহামারীর পর থেকে কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। কিন্তু এখন সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পায়নি পড়ুয়ার সংখ্যা।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন করে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়নি উপরন্তু কয়েক হাজার স্কুল ছুট বৃদ্ধি পেয়েছে সমগ্র রাজ্যে। আমাদের রাজ্যে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত হিসেব করলে দেখা যাবে যে প্রায় ২ লক্ষের বেশি শিক্ষক শিক্ষিকারা এই কাজের সঙ্গে নিযুক্ত রয়েছেন।

School Dropout এর আসল কারণ সম্পর্কে জেনে নিন।

আর এই সকল কিছুর ওপরে ভিত্তি করে রাজ্যের সকল বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাছে School Dropout নিয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছে শিক্ষা দফতর। এই রিপোর্ট তলব করার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য অনুসারে – রাজ্যের সকল স্কুলে করোনা মহামারীর আগে কতো পড়ুয়া ছিল এবং করোনা পরবর্তী সময়ে এক সংখ্যা কতো হয়েছে এই রিপোর্ট সঠিক করে বানাতে হবে।

এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে হবে যে করোনা পরবর্তী সময়েও যদি School Dropout অর্থাৎ পড়ুয়াদের স্কুল ছুট চালু থাকে তাহলে আর দেরি না করে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে নইলে পুনরায় পড়ুয়ার অভাবে রাজ্যের অনেক স্কুলে তালা ঝুলতে পারে এবং সেখানে কর্মরত শিক্ষক – শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলি করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এছাড়াও নতুন করে আর শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে না!!!

করোনা মহামারীর সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যর কথা চিন্তা করে প্রায় ২ বছরের জন্য সকল স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার এবং এরই সঙ্গে প্রচলনে আসে অনলাইন এডুকেশন। এই কারণের জন্যই বিশেষত গ্রাম বাংলায় কয়েক লক্ষ পড়ুয়ারা পড়াশুনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হন অনেকে।

School Dropout কিভাবে কম করা সম্ভব?

২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই ঘটনা ভালো করে পরিলক্ষিত হয়, কারণ বিগত বছরের তুলনায় ৪ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। আর এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে এবং এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে সিলেবাস নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পরে সকল বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাছ থেকে School Dropout নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এবার দেখার অপেক্ষা যে ভবিষ্যতে এই নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

Madhyamik Syllabus – বদলে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস, নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কি কি বদল হলো?

School Dropout নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ নিয়ে নবান্নের সিদ্ধান্ত, কবে পাবেন DA, বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিকটা জেনে নিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button